নিজস্ব প্রতিবেদক
শতবর্ষ উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের নেওয়া মাস্টারপ্ল্যানের অংশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারপাশকে দৃষ্টিনন্দন ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।গতকাল ১১ অক্টোবর পুরো মাস্টারপ্ল্যানটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বয় করে পরবর্তী সভায় এটির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে।
মাস্টারপ্ল্যানের শহীদ মিনার অংশ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি ঠিক রেখে পুরো এলাকাকে নতুন করে সাজানো হবে। মূল বেদির পেছনে থাকবে গাছের বেস্টনী আর দুই পাশে দুটি সবুজ চত্বর। সামনের দিকে থাকবে চারটি চত্বর। এরপরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের দিকে থেকে যে রাস্তাটা শিববাড়ির দিকে গেছে তাতে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে শহীদ মিনার থেকে পলাশীর দিকে যাওয়া রাস্তাও বন্ধ থাকবে। এ দুটো রাস্তায় প্রাইভেট সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কোনো ধরনের যান চলাচল থাকবে না।
এরপরে জগন্নাথ হল আর শিববাড়ির রাস্তার মাঝখানে থাকা শিক্ষকদের আবাসিক ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সেখানে সবুজের মিশেলে থাকবে দৃষ্টিনন্দন চত্বর। যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিশিষ্টজনদের মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা নিবেদন ও গল্প বা আড্ডার জন্য নির্ধারিত থাকবে। এর বিপরীতে থাকা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের পাশে পুকুরটিকে দৃষ্টিনন্দন লেকে পরিণত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ঝরনা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের দিকে যেতে যে রাস্তা যেটি বন্ধ থাকবে সেটি বিশেষ অনুষ্ঠানের দিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রবেশের জন্য খোলার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া আইন অনুষদের জন্য প্রস্তাবিত নতুন ভবনের দেওয়ালে থাকবে ডিজিটাল স্ক্রিন।
এছাড়া শহীদ মিনার এলাকায় একটা উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে। শিক্ষার্থীরা সেখানে বসা, গল্প করার একটা পরিবেশ সেখানে বিরাজ করবে। বর্তমানে টিএসসির ওপর যে চাপ থাকে সেটি অনেকাংশে কমে আসবে। গ্রিন এনভায়রনমেন্ট থাকবে। পবিত্র পরিবেশ বিরাজ করার মতো অবস্থা থাকবে। শহীদ মিনারের যে পেছন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে।
Discussion about this post