শিক্ষার আলো ডেস্ক
আন্তর্জাতিক সংস্থা আলপার-ডগার (এডি) বিজ্ঞানী সূচকের বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাককানইবি) দুই অনুষদের দুটি বিভাগ থেকে ২ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।
১০ অক্টোবর এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা এ সংস্থা সারা বিশ্বের ৭ লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর ও গবেষকের সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
র্যাংকিং করার ক্ষেত্রে বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১৩ হাজার ৫২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৭৭ জন, এশিয়ার ৪৯টি দেশের ৬৩৬০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৬২ জন, বাংলাদেশের ১৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৯৬ জন গবেষকের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ বছরসহ গত ৫ বছরের সাইটেশন আমলে নেওয়া হয়।
এর মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষকের প্রকাশিত আর্টিকেল, সাইটেশন এবং অন্যান্য ইনডেক্সের বিবেচনায় এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।
তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি তালিকায় থাকা বাংলাদেশের গবেষকদের মধ্যে ১৩৬২তম। কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। সারাবিশ্বের গবেষকদের মধ্যে তার অবস্থান ৫ লাখ ১ হাজার ৪৪২ তম এবং এশিয়ার মধ্যে অবস্থান ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৬ তম। এবং তালিকায় আছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুজ্জামান খাঁন। তিনি তালিকায় থাকা বাংলাদেশের গবেষকদের মধ্যে ১৫১ তম। কাজ করছেন মেডিকেল এন্ড হেলথ সায়েন্স নিয়ে। সারাবিশ্বের গবেষকদের মধ্যে তার অবস্থান ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ তম এবং এশিয়ার মধ্যে অবস্থান ৩৭ হাজার ২৭ তম।
এমন অর্জনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, বিশ্বসেরা গবেষকদের ইনডেক্সে নাম পাওয়া ও পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া গবেষক হিসাবে এটা খুবই উৎসাহজনক। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্যে খুবই অবহেলিত। বাংলাদেশের গবেষক যাদের এখানে নাম এসেছে, অধিকাংশই দেখা যাবে নিজ উদ্যোগে গবেষণা করে, বলা যায় নিজের টাকা-পয়সা খরচ করে গবেষণা করে। আমি নিজে যেমন এ বছরে কয়েকটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছি, আমি নিজে আমার বেতনের টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ফিসহ বিভিন্ন বিষয় মেইনটেইন করি। তো সেই হিসেবে, এসব কাজের জন্যে যে স্বীকৃতি বা সূচকে খুবই সামান্য হলেও নাম এসেছে এতে উৎসাহ লাগে এবং এতে আমার কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
গবেষক মো. নুরুজ্জামান খাঁন জানান, তালিকায় নাম আসায় খুবই ভাল লাগছে। বিশেষ করে, আমাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রিসার্চের সুযোগ-সুবিধা বলতে কিছুই নেই। এই জায়গা থেকে কাজ করে একটা ইন্টারন্যাশনাল ইনডেক্সে নাম নিয়ে আসার অনুভূতি বলার মতো না। আমি আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে রিসার্চ ও রিসার্চারদের জন্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
এমন অর্জনে খুশি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অন্তর থেকে আমি তাদেরকে অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাই। এটা শুধু তাদের ব্যক্তিগত বা তাদের বিভাগের নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে বিশাল অর্জন ও সুনাম বয়ে এনেছে।
Discussion about this post