নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন ১ হাজার ৭০০ অফিসে শতভাগ ই-ফাইলিং চালু হচ্ছে ৩১ অক্টোবর থেকে। শুধুমাত্র কিছু জরুরি ফাইল ছাড়া সবই ই-ফাইলিং কার্যযক্রমের আওতায় চলবে।
প্রাথমিকের বিভিন্ন অফিসে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরুর পর চলতি বছরের জুনে অধিদফতর থেকে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে শতভাগ ই-ফাইলিং ব্যবস্থায় যাওয়া সম্ভব হবে। সময়সীমার দুই মাস আগেই তা শুরু হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘মুজিববর্ষে শতভাগ অফিস ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনতে পারছি। দেশের সকল অফিসার-স্টাফকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ডিজিটাল সিস্টেমে ফাইল ট্রান্সফার ও যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আদালত সংক্রান্ত কিছু নথি এবং এজি (অডিটর জেনারেল) অফিসের ফাইল— যেগুলোতে স্বাক্ষর থাকা জরুরি, সেগুলো হার্ডকপিতেই থাকবে। এ ছাড়া প্রজেক্টের কিছু কাজও হার্ডকপিতে রাখতে হবে।’
অ্যানালগ পদ্ধতিতে সময় নষ্ট হয় বেশি। হাতে হাতে না পৌঁছালে সচিবালয়ে একটি ফাইল যেতে লেগে যায় এক সপ্তাহ। ই-ফাইলিংয়ে সেটা হয়ে যাবে কয়েক সেকেন্ডে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ১ হাজার ৭০০টি অফিসকে পেপারলেস করার উদ্যোগ নেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক। তার নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা অফিসাররা ই-ফাইলিং চালুর উদ্যোগ নেন। মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসগুলোকে প্রথম দিকে ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনা হয়।
এরপর উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিস, উপজেলা ও থানা রিসার্চ সেন্টারসহ অধিদফতরের সব অফিসে ই-ফাইলিং শুরু করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেবাগ্রহীতার হার্ডকপির আবেদন স্ক্যান করে ই-ফাইলে নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার মতামত দিতে পারবেন ই-নথির মাধ্যমে।
অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা বিভাগীয় উপরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া বিভাগের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেবা পাওয়া সহজ করতে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ইমেইল আইডি খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আদেশ, প্রজ্ঞাপন, অধিদফতরসহ বিভাগীয় নির্দেশনা ওই ইমেইলে পাঠানো হবে।
Discussion about this post