নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদ্রাসা দীর্ঘদিন বন্ধ রেখে অফিস আদেশ জারির আগে প্রক্রিয়াধীন থাকা গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ আগের নিয়মে সম্পন্ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২০১৮ সালের এম.পি.ও নীতিমালা অনুযায়ী সারাদেশের সব মাদ্রাসায় নবসৃষ্ট গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে আবেদনকারিদের নিয়োগ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খানের মৌখিক নিদর্শনায় দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়। এরপর উক্ত পদ দুটিকে শিক্ষক পদমর্যাদা দিয়ে গত ১৮ জুলাই কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ওই অফিস আদেশে এ দুটি পদের নিয়োগ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তারা বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়। তবে আমরা যারা পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী দীর্ঘদিন যাবত নিয়োগের প্রতীক্ষায় ছিলাম এ আদেশের ফলে আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ আদেশের জন্য বিভিন্ন মাদ্রাসায় আবেদন করা হাজারো চাকরী প্রত্যাশী ক্ষতি ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সচিবের মৌখিক নিদর্শনায় বন্ধ থাকা প্রক্রিয়াধীন নিয়োগ আগের নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন করার দাবিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধন থেকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের উদ্যোগ কামনা করছি। দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিতে এবং জ্ঞানভিত্তিক জাতি গঠনে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে প্রক্রিয়াধীন নিয়োগগুলো সম্পন্ন করে বেকারত্ব দূরীকরণে সরকার ভূমিকা রাখবে, এটাই এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে খান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বৈষম্যমূলক অফিস আদেশ জারির প্রতিবাদে এর আগেও সারাদেশের হাজারও চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়ে বেশ কয়েকবার শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিবসহ মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরিস্থিতি ও চাকরির নির্ধারিত বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ নানা দিক বিবেচনায় প্রক্রিয়াধীন নিয়োগগুলো আগের নীতিমালা অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোর অনুরোধ জানাই। এরপরেও যদি আমাদের আর এ দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে হয়, তবে আমরা চাকরির প্রত্যাশায় আমরণ অনশন করতে প্রস্তুত আছি। তাতে যদি আমাদের মরণও হয় তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমরা সেই মরণকে হাসিমুখে মেনে নেব।
কর্মসূচিতে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ফজলুল হক, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অলিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সালাম খান রিপন প্রমুখ। এছাড়া কর্মসূচিতে পূর্বের নিয়মে আবেদনকারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post