নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরিবহন সংকট নিরসন ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে একটি স্মারকলিপিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের কাছে জমা দেন তারা।
উপাচার্য বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো, কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করা। ক্যাম্পাসের নিজস্ব ও ভাড়ায় চালিত গাড়ির ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করা। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলপার নিশ্চিত করা। প্রত্যেক গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার ও নির্দিষ্ট রুট প্ল্যান সংযুক্ত করা এবং ক্যাম্পাসের নিজস্ব ও ভাড়ায় চালিত গাড়িতে বাইরের যাত্রী উঠানো বন্ধ করা।
এছাড়া দুই জেলার রুটে চলাচলরত ভাড়ায় চালিত বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়, অসৌজন্যমূলক আচরণ, শিক্ষার্থীদের বাসে উঠতে দিতে অনীহার কথা উল্লেখ করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও ক্যাম্পাসে মাত্র ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে অবস্থান করেন। তাদের ক্যাম্পাসের বাসে চলাচল করতে হয়। এছাড়া আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন কাজে ও টিউশনি করাতে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু মহাসড়কের বেহাল দশায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। ৫০ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটে চলাচল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িগুলোর ফিটনেস নেই। একদিকে মহাসড়কের বেহাল দশা, অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি—সব মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। অতি দ্রুত এসব যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে জোর দেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এ বিষয়ে আমরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতির সঙ্গে বসবো। এছাড়া প্রতিটি গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ’
Discussion about this post