নিজস্ব প্রতিবেদক
৯ম শ্রেণির সিলেবাস ২০২১ ও মানবণ্টন এর খসড়া প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এছর ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ৩টি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, পরীক্ষা গ্রহণের পূর্বে যদি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর http://dshe.gov.bd আরও কোনো এসাইনমেন্ট ও নতুন নির্দেশনা দেয়, এই খসড়া সিলেবাস ও পূর্ব পর্যন্ত যদি অন্য কোনাে অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্দেশনা দেয়, তাহলে সেগুলো এই খসড়া সিলেবাসের (পাঠ্য সূচি) সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
বিষয় ৩টি হলো- বাংলা, ইংরেজি ও গণিত।
তাই শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সিলেবাস প্রস্তুত করেছে ৩টি বিষয়ের উপর। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। প্রতিটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
যেসব নির্দেশনা মেনে পরীক্ষা হবে :
১. বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পরীক্ষা নিতে হবে;
২. পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বরের;
৩. প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট;
যে সিলেবাসে পরীক্ষা হবে :
যেসব অধ্যায় থেকে এসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়) দেয়া হয়েছে, সেসব অধ্যায় এবং ১২ জানুয়ারি ২০২১ থেকে শ্রেণিকক্ষে যেসব অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে, সেগুলোই ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস।
বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস হবে যেভাবে :
(ক) বাংলা (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে ৫০ নম্বরের (লিখিত ৩৫ + এমসিকিউ ১৫);
(খ) ইংরেজি (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে ৫০ নম্বরের (১ম পত্র ৩০ + ২য় পত্র ২০);
(গ) সাধারণ গণিত বিষয়ের নম্বর হবে ৫০ নম্বরের (লিখিত ৩৫ + এমসিকিউ১৫);
(ঘ) প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে।
(ঙ) বার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে।
(চ) অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের (৫০+৪০+১০) ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নপূর্বক বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
Discussion about this post