নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) ২১তম ও ২২তম সমাবর্তন ।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন, তবে আমাদের আরও অনেক কিছু অর্জন করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষাকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, শিক্ষাকে জীবন ও সংস্কৃতিমুখী করা, সৃজনশীল এবং আনন্দময় করা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইইউবি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে এর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন আইইউবিতে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম ও এ্যাক্টিভিটিগুলো খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়ন বা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম, ই-লার্নিং, দূরশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে এই করোনাকালেও আইইউবি-তে মান সম্মত শিক্ষা বাস্তবায়িত হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই বিজ্ঞানের সুফল আমরা পাচ্ছি।
সমাবর্তনে বক্তব্য দেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তিনি বলেন, আমরা এখন তথ্য যুগে বসবাস করছি। দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিযোগিতার বাজারে গ্র্যাজুয়েটদের উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন ও সূক্ষ্ম চিন্তাশক্তি বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, স্নাতকরা শুধুমাত্র ভাল যোগ্য পেশাদারই নয় বরং স্বাধীন চিন্তাবিদও হবেন, সর্বোপরি সমাজের জন্য আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করবেন।
আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী, এডুকেশন, সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের (ইএসটিসিডিটি) চেয়ারম্যান নিলুফার জাফরুল্লাহ, উপাচার্য তানভীর হাসান পিএইচডি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ইএসটিসিডিটি’র চেয়ারম্যান নিলুফার জাফরুল্লাহ নতুন গ্র্যাজুয়েটদেরকে দেশ ও সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রতি তাগিদ দেন।
উপাচার্য তানভীর হাসান তাঁর বক্তব্যে বাস্তব জগতে ভয় না পেয়ে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে গ্র্যাজুয়েটদের আহ্বান জানান।
এবার সমাবর্তনে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান নির্বাচিত হয়েছেন এনভাইরনমেন্ট সাইন্স বিভাগের সুরাইয়া খান। এ বছর তিনি চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল লাভ করেন এবং সনদপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সর্বমোট দুই হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ দেওয়া হয় যার মধ্যে ২১তম সমাবর্তনের মোট এক হাজার ২৭৯ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ৮৯৯ জন স্নাতক ও ৩৮০ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী সনদ পেয়েছেন এবং ২২তম তম সমাবর্তনের ৮৬৪ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ৬৭০ জন স্নাতক ও ১৯৪ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী সনদ পেয়েছেন।
২১তম সমাবর্তনে টপ গ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন রাহাতুল জান্নাত, অল রাউন্ডার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন জন মার্ক জয় মধু, কালচারাল এ্যাক্টিভিটিজ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন নায়লা বিনতে জাকারিয়া, স্পোর্টস এ্যান্ড গেমস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন দিপ্ত পোদ্দার ও কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তাসনিম জুয়াইরিয়া আহমেদ।
২২তম সমাবর্তনে টপ আন্ডার অ্যাওয়ার্ড হয়েছেন সোবিয়া আজিজ বাদাত এবং টপ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন আবু হেনা মোস্তফা কালাম, অল রাউন্ডার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন নওশীন করিম আহমেদ ও কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন মো. মাজেদ হোসাইন মক্কী। লেখাপড়ায় অসাধারণ ফলাফলের জন্য ও সহ শিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সবাইকে মেডেল ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
ধন্যবাদ জানান আইইউবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
Discussion about this post