শিক্ষার আলো ডেস্ক
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি) রাজধানীর পূর্বাচলে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ শুরু করলো। সম্প্রতি পূর্বাচলের ৯ নম্বর সেক্টরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইন বলেন, আমি যখন প্রথম চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সঙ্গে দেখা করি, তখন তিনি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। কখনোই ভাবিনি, আমিই সেটির ভিত্তি উদ্বোধনে থাকবো। ঢাকায় আমার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় এ ক্যাম্পাস হবে সবসময় কানাডার একটি ছোট অংশ। আমি এখানে এসেও তাই দেখছি। চারপাশে সবুজ মাঠ। যখন এই ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে যাবে, তখন এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা আরও অনেক কিছু করবে। সেসব অভিজ্ঞতা তারা এখানে অর্জন করবে, যা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে তারা মেধা ও প্রযুক্তি দিয়ে এই শহর ও দেশকে উন্নত করবে।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য এক বিশেষ মাইলফলক। কারণ আমরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত স্থাপন করেছি। পূর্বাচলে ১২ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুবিশাল ক্যাম্পাস। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব দিগন্তের বাইরে অন্বেষণ করতে, সহনশীল হতে ও সংস্কৃতি, জাতি, ধর্ম বা প্রেক্ষাপটের বিভেদকে অতিক্রম করে পারস্পরিক বন্ধন আবিষ্কারে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ফ্যাকাল্টি, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সিইউবি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। শুরুর দিন থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়ায় আমি আন্তরিকভাবে বেনোয়া প্রিফন্টেইন ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।
কানাডিয়ান হাইকমিশনের কাউন্সিলর এবং সিনিয়র কমিশনার এঞ্জেলা ডার্ক, স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা সাহিদ, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাহিব চৌধুরী এবং আব্দুল মুনেম গ্রুপের সিইও মাইনুদ্দিন মুনেম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী চেয়ারম্যান শাহানুল হাসান খান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সিনিয়র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post