শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত শেখ রাসেল মডেল স্কুলের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি প্রায় ১২ কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ স্কুলের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র ও স্কুলের অধ্যক্ষ লিসাইয়া মেহ্জবিন।
উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শহীদ শেখ রাসেল শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র বা আমাদের আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্নেহের ভাই ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক প্রতিভাদীপ্ত জাতির জন্য সম্ভাবনাময় কিশোর। তিনি বেঁচে থাকলে আজ জাতিকে কোনো না কোনোভাবে নেতৃত্ব দিতেন।
তবে ঘাতকেরা শেখ রাসেলকে হত্যা করলেও হত্যা করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনাকে। তাই বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ এক যজ্ঞ দেখা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে শেখ রাসেল আজ আমাদের শিশু-কিশোরদের মধ্যে এক রোল মডেল হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি।
দীপু মনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেল মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদ শেখ রাসেলকে দেশ ও জাতির মনে চির জাগরুক রাখার ক্ষেত্রে এক স্থায়ী মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই স্কুলটি শুধু একটি স্কুল না হয়ে এটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিকাশের এক অনির্বাণ বাতিঘর হবে। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত করবে এবং তারা জাতিকে বিজয়ের পর বিজয়ের মহাসারণিতে নিয়ে যাবে।
১৯৮৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত শেখ রাসেল মডেল স্কুলের যাত্রা শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নার্সারি স্কুল নামে। সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর হোসনে আরা বেগম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্লাবের সদস্যবৃন্দের উদ্যোগে মহিলা ক্লাবে এই স্কুলটির সূচনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সন্নিকটে ৩.৯৪ একর এলাকা জুড়ে এ স্কুলটি অবস্থিত। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। মোট ১৬টি শ্রেণিকক্ষ সম্পন্ন নবনির্মিত এই স্কুলটিতে প্রায় ১,০০০ শিক্ষার্থী একযোগে ক্লাস করতে পারবে। এই স্কুলে রয়েছে ৮টি ব্যবহারিক গবেষণাগার, ১টি করে লাইব্রেরি, কম্পিউটার-আইটি ল্যাব, ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা কমনরুম, অফিস কক্ষ, শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত ২টি শিক্ষক লাউঞ্চ, অধ্যক্ষের কক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের ২টি কক্ষ।
শিক্ষার্থীসহ প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তার জন্য ভবনটি সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতায় আছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভবনে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি র্যাম্প। স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় পাঁচশত। প্লে থেকে ৮ম শ্রেণীতে মোট ১৪টি শাখায় পাঠদান করা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা মোট ১৭ জন।
Discussion about this post