শিক্ষার আলো ডেস্ক
শীত আসলেই দেশে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটে না।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতেই ইবির লেকে আসতে শুরু করেছে অতিথি এসব পাখি। হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা নানা প্রজাতির এসব পাখি আশ্রয় নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকায়। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এবং মানুষের বিচরণ কম থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পাখি এসেছিল গত বছর। এ বছরও অনেক বেশি অতিথি পাখির দেখা মিলছে ক্যাম্পাসে।
সাধারণত প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হিমালয়ের উত্তরে প্রচন্ড শীত নামতে শুরু করে। শীত সহ্য করতে না পেরে এসব পাখি চলে আসে বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে।
ক্যাম্পাসের লেক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিযায়ী পাখিরা জলকেলিতে মেতে উঠছে। কিছু পাখি পালকের ভেতর মুখ গুঁজে রোদ পোহাচ্ছে। কিছু আবার হঠাৎ করেই ডানা মেলছে আকাশে। এক ঝাঁক উড়ে যাচ্ছে, তো আরেক ঝাঁক এসে বসছে। পাখিদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে উঠছে পুরো ক্যাম্পাস।
গত কয়েক বছর ধরেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকায় আসছে অতিথি পাখি। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়। ক্যাম্পাসের লেকে আসা ছোট সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুঁনতে হাঁস, বালি হাঁস, মানিকজোঁড় যে কারো হৃদয় জুড়াবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিযায়ী পাখিদের দেখে উচ্ছ্বসিত হন। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন পরিযায়ী পাখি দেখতে। সকালবেলা শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকে হাঁটতে বের হন ক্যাম্পাসে। এসময় পাখিদের কলকাকলি আর জলকেলি মুগ্ধ করে তাদের। আর শীতের সোনামাখা রোদ যখন পাখিদের বাহারি রঙের ডানায় ভর করে, তখন সৌন্দর্য্য বেড়ে যায় বহুগুণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পরিযায়ী পাখিরা আমাদের প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ। এসব পাখি পরিবেশের শোভাবর্ধন করে। ইবি ক্যাম্পাসে আগত পাখিদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।
Discussion about this post