নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে । তার আগেই পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২০ নভেম্বর স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রবেশপত্র পাবেন পরীক্ষার্থীরা। টিকাকেন্দ্রে গিয়ে সেই প্রবেশপত্র দেখিয়েই তারা নিতে পারবেন করোনার টিকা। বুধবার (১০ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নেওয়া বেশ কয়েকটি নতুন সিদ্ধান্তের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীদের টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সভায় টিকা কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করার প্রস্তাব হলেও তা বাতিল হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অনেকে অসুস্থতা বা ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এমন নিয়মে জটিলতা তৈরি হবে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তে জানানো হয়, সব কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজন হবে। তিন ফিট দূরত্ব বজায় রেখে ‘জেট’ আকারে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে বসাতে হবে। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করাতে হবে। যদি কারো তাপমাত্রা বেশি হয়, তবে ওই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। কেউ যৌক্তিক কারণে দেরি করলে কারণ ও পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় খাতায় লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে সভায় প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বুধবার এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় বেশ কয়েকটি নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। এরইমধ্যে সব জেলার ট্রেজারিতে ফয়েল পেপারে সিলগালা করে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে পরীক্ষার কমপক্ষে তিন দিন আগে প্রশ্নপত্র শটিং (গণনা) হবে। পরীক্ষা শুরুর দিন ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড নির্বাচন করে সব জেলায় জানানো হবে। কেউ যাতে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোয়েন্দা নজরদারি বসানো হবে।
Discussion about this post