শিক্ষার আলো ডেস্ক
এবার করোনাভাইরাসের টিকা যাবে প্রতিটি স্কুলে। শিক্ষার্থীদের আর অন্য স্কুলে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খুব শিগগির নিজ স্কুল থেকেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দৈনিক সমকাল কার্যালয়ে ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠাবে। আর সেই তালিকা ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের টিম স্কুলে স্কুলে গিয়ে টিকা দেবে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই কার্যক্রম শুরু করব। গতকালই (বুধবার) এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব টিকা দেয়া, নিবন্ধন করে আইসিটি মন্ত্রণালয় আর শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
তিনি জানান, টিকাদান প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ৭ দিনের মধ্যে নতুন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (আজ) থেকে স্কুলে টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তালিকা পাঠাতে হবে।’
বর্তমানে, সরকার ঢাকার ৮টি স্কুলে টিকা কেন্দ্রে করেছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও আশেপাশের অধিবাসীদের এই কেন্দ্রগুলোতে ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সরকার ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ লাইন, টিকা কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় একাধিক অসুবিধার কারণে সরকারের এই উদ্যোগ সফল হয়নি।
‘কিন্তু স্কুলে টিকাদান শুরু করার পর বেশ কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমরা যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে টিকা প্রয়োগ করি তাহলে শিক্ষার্থীদের আর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না,’ তিনি যোগ করেন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কুলিং সুবিধা আছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি এমন স্কুলে টিকা দেওয়া হবে। আমরা শিগগির তা শুরু করব।’
মাউশির তথ্য অনুসারে, ঢাকার স্কুলগুলোতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর একটি তালিকা টিকা নিবন্ধনের জন্য আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখের নিবন্ধন হয়েছে। ঢাকার স্কুলগুলোতে ১২-১৭ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষার্থী আছে।
Discussion about this post