শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম বর্ষ ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালুর দাবি বিবেচনায় নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বা্য়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বুয়েট কর্তৃপক্ষকে এ দাবিতে লিখিত চিঠি দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যার সিদ্ধান্ত জানিয়ে অহিদুল ইসলামকে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন লিখিত চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়,‘উপরোক্ত বিষয়ে আপনার ২৫-০৪-২০২১ তারিখের পত্রের প্রেক্ষিতে গত ১২-১০-২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৭১তম সভায় এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ১৯-০২-২০০৫ তারিখের একাডেমিক কাউন্সিল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পক্ষে মত প্রদান করেন। ১৯-০২-২০০৫ তারিখের একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো।
‘প্রস্তাবে উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভর্তির জন্য ন্যূনতম ৫% কোটা সংরক্ষণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা ও পর্যালোচনায় দেখা যায় যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের পোষ্যদের জন্য ভর্তির কোটা থাকলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও কোন কোটা ছিল না এবং এখনও নেই। মুক্তিযুদ্ধ প্রায় ৩৪ বৎসর পূর্বে হয় এবং এ যাবৎ কোন কোটা ছাড়াই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলিয়া আসিতেছে। কোটা সিস্টেম চালু হইলে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিবে। সার্বিক বিবেচনায় একাডেমিক কাউন্সিল কোটা সিস্টেম চালুর বিপক্ষে মত প্রদান করেন। ’
Discussion about this post