নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম। সকাল থেকে প্রথম ধাপে নগরীর তিনটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- মির্জা আহম্মেদ ইস্পাহানী উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল (চট্টেশ্বরী শাখা) ও স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। তবে প্রথমধাপে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন।
টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক গতকাল রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।
উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা জেলা শিক্ষা অফিস, সিভিল সার্জনের মাধ্যমে নির্ধারিত কেন্দ্রে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া, নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নমুন টিকা কার্ড সংগ্রহ করে কার্ডের পূরণকৃত দুই কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে।
তবে আপাতত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধুমাত্র ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। পরবর্তীতে আমরা ১২-১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমও শুরু করবো।
চট্টগ্রামে ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে আপাতত তিনটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। ভ্যাকসিন রাখার জন্য তাপমাত্রা একটি বড় ফ্যাক্টর। জেনারেটর এবং এসি ছাড়া ভ্যাকসিন রাখা যাবে না। মির্জা আহম্মেদ ইস্পাহানী উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কাল থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর নগরীর সরকারি-বেসরকারি ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টিকাদানের কেন্দ্র করতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার। এরপর ১ নভেম্বর টিকাদান কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাব করা এসব স্কুল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।
জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ভ্যাকসিনের জন্য প্রস্তাব করা স্কুলগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, মির্জা আহম্মেদ ইস্পাহানী উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, দামপাড়াস্থত বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুল এবং মেহেদীবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুল। এরমধ্যে, ভ্যাকসিন রাখার জন্য উপযোগী না হওয়ায় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং মেহেদীবাগস্থ বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুল বাদ পড়ে।
প্রাথমিক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে রাজধানীর আটটি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আট স্কুলের প্রতিটিতে গড়ে দৈনিক দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টিকা দেওয়ার কথা ছিল। টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি স্কুলে ২৫টি বুথ রয়েছে।
Discussion about this post