শিক্ষার আলো ডেস্ক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃহল বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে জানতে হবে। তিনি শুধু একটি দেশকে স্বাধীন করেননি, একটি জাতীয় পতাকা ও একটি ভূ-খণ্ডই উপহার দেননি, তিনি দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে যে ধরনের পটভূমি দরকার, তার সবই সৃষ্টি করে গেছেন। সেই পথ ধরেই আমরা এখন চলছি। এজন্যেই তিনি সব সময়ের জন্যে প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, তিনি যেমন তার সময়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তেমনি বর্তমানেও তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি নিপীড়িত-নিষ্পেষিত মানুষের নেতা। বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের আবিষ্কার করতে পারবে।
প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি তোমাদের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাই। সাইত্রিশ বছর আগে আমিও তোমাদের মতো এখানকার ছাত্র ছিলাম। তোমাদের জীবন সংগ্রামের মধ্যে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। কারণ আমিও তোমাদের মতো মফস্বল থেকে উঠে এসেছি। ঢাকায় আত্মীয়-স্বজন ছিল না। তারপর নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেছি আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমান চাকরির বাজার খুবই কঠিন। এখানে সাধারণ ছাত্র হয়ে, পড়াশোনা না করে ভালো করার কোনো উপায় নেই। তাই তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ নিজদের এমনভাবে তৈরি করো যাতে সব প্রতিযোগিতা তোমরা অনায়াসে পার হতে পারো।
প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলে বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
এসময় সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুগ্ম-সম্পাদক আশরাফুল হক মুকুল, কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান রাশিদুল হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদ নান্টু, শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইয়াসমিন সুলতানা খুকুু, মাহমুদা সুলতানা হেলেন, সালেহা খাতুন স্নিগ্ধাসহ প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ও সন্ধ্যা ছয়টায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠেয় হবে। এরপর শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হবে।
এছাড়া শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিজয় একাত্তর হল, রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় স্যার এ এফ রহমান হল, সোমবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় জগন্নাথ হল, মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় শামসুন্নাহার হল এবং বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বক্তৃতার বাকি পর্বগুলো অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক হলের প্রতিযোগিদের মধ্য থেকে প্রথম স্থান অধিকারকারীকে নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এছাড়া হল পর্যায়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীসহ অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে।
Discussion about this post