শিক্ষার আলো ডেস্ক
আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৪৭টি জেলা শহরে কেন্দ্র স্থাপন করে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। বর্তমানে ৩৫টি জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান চলমান বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে।
গত ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরের আটটি স্কুলে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দিনে পাঁচ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও সে লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিটি কেন্দ্র দুই থেকে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে নতুন করে আরও একটি কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৩৫টি জেলা শহরে গত ১৫ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ পর্যন্ত দুই লাখ পাঁচ হাজার ৯৩১ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব জেলায় আরও ৭০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর টিকাদান বাকি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাদের টিকার আওতায় আনা হবে। বাকি জেলাগুলোতে টিকা কার্যক্রম দ্রুত সময়ে শুরু করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের বয়স ১৭ বছরের মধ্যে থাকায় ইতোমধ্যে টিকা পেয়ে গেছে। যাদের বয়স ১৮ বছর তারা নিবন্ধন করে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের টিকা কার্যক্রম চলবে। এরপর থেকে জেলা শহরে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
সারাদেশে টিকা পাওয়ার উপযোগী এক কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী আছে। এদের মধ্যে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত কতজন টিকা নিয়েছে সে তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাউশিতে পাঠানো কথা। তবে সব জেলার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত দেশের ৩৪টি জেলার শিক্ষার্থীদের টিকার তথ্য এসেছে, সেগুলো আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post