শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় নিহত স্কুলছাত্র মো. মাইনুদ্দিন ওরফে মাইনুল ঠিক ততটাই আঁধারে হারিয়ে গেছে, যতটা সে বলেছিল কিছুদিন আগে ফেসবুকে। তার সেই স্ট্যাটাসটি অনেকের নজর কেড়েছে। দেখে দুঃখ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
‘সত্যিই হারিয়ে গেল, এভাবে চলে যাওয়ার বার্তা তার মন আগেই দিয়েছিল কি-না’, এমন মন্তব্যও করছেন স্বজন, সহপাঠী- নেটিজেনরা। ‘মাইনুল হারিয়ে গেল, চিরতরে, চির আঁধারে, আর কেউই পাবে না তার সন্ধান’- এমন আক্ষেপও করছেন তারা।
সোমবার রাতে অনাবিল পরিবহনের একটি বাস তাকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এরপর চাপা দিয়ে পিষ্ট করে ফেলে। মগজ গলে মিশে আছে পিচঢালা রাস্তার ওপর। ছোপ ছোপ রক্তের দাগও লেগে আছে। পাশেই নিথর দেহটিও পড়ে ছিল মাইনুলের। এই মর্মান্তিক অবস্থায় স্বজন, সহপাঠীসহ অনেকের নজর পড়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটির দিকেও।
এরমধ্যে সাম্প্রতিক একটি স্ট্যাটাস দুঃখ দিচ্ছে। লেখাটি ছিল, ‘ঠিক ততটা আঁধারে হারিয়ে যাব, যতটা আঁধারে হারালে কেউ সন্ধান পাবে না।’ গত জুনের শেষের দিকে দেওয়া এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে এবার আক্ষেপ করছেন নেটিজেনরা।
মাইনুল এবার একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তার মৃত্যুর খবরে সহপাঠী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। তারা রাস্তা অবরোধ করে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর শুরু করে। অন্তত ১২টি বাসে আগুন ও ৪০টি বাস ভাঙচুর করা হয়।
এরপর রামপুরা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত দু’পাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, ছেলেটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর বাসটি যদি পালাতে না চাইত, তাহলে সে বেঁচে যেত। বাসটি প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ছেলেটিকে ফেলে দেয়। তখনও ভালো ছিল। কিন্তু পালাতে গিয়ে তার ওপর দিয়েই বাস নিয়ে চলে যান চালক। এতে চাকার নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে যায় মাইনুল।সৌজন্যে-সমকাল
Discussion about this post