নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারেনি। তাদের জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জরুরি অফিস আদেশে জানানো হয়, আগামী ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই ভর্তি কার্যক্রমে যেসব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারেনি, তাদের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো নিম্নে দেয়া হলো –
১) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ব্যতীত অন্য কোনও পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
২) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশিত শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফরমের ফি (সরকারি ও বেসরকারি) কোনোক্রমেই ১১০ টাকার বেশি গ্রহণ করা যাবে না।
৩) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা (সংশোধিত-২০২১) এ গঠিত ঢাকা মহানগর/জেলা/উপজেলা ভর্তি কমিটির উপস্থিতিতে লটারি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।
৪) বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বশেষ নীতিমালায় গঠিত মহানগরী/জেলা/উপজেলা ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটির উপস্থিতিতে লটারি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।
৫) লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৬) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিস্পন্ন করতে হবে।
৭) যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।
৮) সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
Discussion about this post