শিক্ষার আলো ডেস্ক
বছরের পর বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত জিমনেসিয়ামটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
দেশের একমাত্র আবাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে শরীরচর্চার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। যেগুলো আছে সেগুলোতেও মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে।
বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও শরীরচর্চার অন্যতম সহায়ক জিমনেসিয়ামের সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যায়ামাগার না থাকার জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জিমনেসিয়ামের মেঝেতে পড়েছে ধুলোর আস্তরণ। ছাদে অসংখ্য ফাটলের অস্তিত্ব। ফলে বৃষ্টি হলেই এসব ফাটল দিয়ে পানি পড়ে মেঝেতে। যে কারণে দীর্ঘদিন মেঝেতে জমে আছে বৃষ্টির পানি। আর দেবে গেছে মেঝের বেশ কিছু অংশ।
জিমনেশিয়ামে ডাম্বেল না থাকায় এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছেন ‘ইট’। গুটি কয়েক সচল যন্ত্রগুলোতেও ধরেছে মরিচা। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ওজন মাপার যন্ত্রটিও। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত খাবার পানির পাত্রটিও অব্যবহার্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের সংস্কার করা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। তাই জিমনেসিয়ামের দেয়ালগুলোতে রঙ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের ইনস্ট্রাক্টর ঠিকমতো আসেন না। তাই নিজেদের মতো করেই শরীরচর্চা করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শরীরচর্চার সময় পর্যাপ্ত খাবার পানিও পাচ্ছেন না তারা। নিয়মিত ঝাড়ু না দেওয়ায় সবসময় ধুলোবালি উড়ে। আর মেঝেতে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মশা জন্মানোর আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, শিক্ষার জন্য সব শিক্ষার্থীকে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। জিমনেশিয়ামের আধুনিকায়ন জরুরি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিমনেসিয়ামের এক কর্মকর্তা বলেন, শরীরচর্চায় প্রয়োজনীয় সাইক্লিং মেশিন, ট্রেডমিল, মাল্টিজিম, ডাম্বেল, বারবেল ও ওয়েট যন্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন মতো শরীরচর্চা করতে পারেন না। এখানে যেসব সরঞ্জামাদি আছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই শরীরচর্চার জন্য আগের মতো শিক্ষার্থীরা এখানে আর আসেন না। আবার ছাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যায়ামাগার নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরীন বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি নষ্ট, সেসব সচলের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যেসব যন্ত্রপাতির সংকট আছে সেগুলো নতুন কেনার চেষ্টা করবো। মেয়েদের শরীরচর্চার জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সৌজন্যে-জাগো নিউজ
Discussion about this post