শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ‘ডোপ টেস্ট’ বিষয়ক নীতিমালা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। এই নীতিমালা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হবে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ডোপ টেস্ট কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিটু মিঁঞা এ তথ্য জানান।
ডোপ টেস্ট কমিটির সদস্য ও ফার্মেসি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রহমান বলেন, আমরা নীতিমালা তৈরি করে খসড়া জমা দিয়েছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সভা পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন দেবে। আমরা এই বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছি। প্রথমত, যারা এবছর প্রথমবর্ষে ভর্তি হবে তাদের দিয়ে শুরু করার জন্য বলেছি। দ্বিতীয়ত, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ল্যাবের অভাবে পক্ষে ডোপ টেস্ট সম্ভব নয়, যে কারণে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, পপুলার মেডিক্যালের সহায়তায় ডোপ টেস্ট করতে বলা হয়েছে। দু-তিন বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ডোপ টেস্ট ল্যাব প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডোপ টেস্টের খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তো সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থী পড়তে আসে। সেক্ষেত্রে সরকার হয়তো বাজেট দেবে৷ সরকার বাজেট না দিলে শিক্ষার্থীদের এর খরচ বহন করতে হতে পারে।
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি হুটহাট করে করার বিষয় নয়। কাদের দিয়ে শুরু করতে পারি, কিভাবে শুরু করতে পারি, এর ফল কোথায় পড়বে, ব্যবস্থাটা কী হবে,সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তারপর এগুলো করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বড় পরিসরে ক্যাম্পেইন থাকবে যাতে কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত না হয়। সামাজিক প্রতিরোধ হলো আসল শক্তি। আমরা কমিটিতে এগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করবো। পর্যালোচনা করে দেখবো আমরা কিভাবে অগ্রসর হতে পারি। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে তখন সকল শিক্ষার্থী এই ডোপ টেস্টের আওতায় আসবে।
Discussion about this post