শিক্ষার আলো ডেস্ক
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। চিঠিতে ইতিহাস বিভাগকে মানবিকী অনুষদের অধীনে অনুমোদন প্রদান করাসহ বশেমুরবিপ্রবির বিদ্যমান সমস্যাবলী সমাধানের জন্য মোট ৬টি নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, চলমান শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউট-এর অধীনে সিএসই, ইইই ও ইটিই বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে একই বিভাগের সাথে একীভূত করা হবে এবং প্রস্তাবিত কৃষি অনুষদের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউট-এর অধীনে থাকা কৃষি, লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং ফিশারিজ এন্ড বায়োসায়েন্স বিভাগসমূহকে কৃষি অনুষদের অধীনস্থ হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইনস্টিটিউ শুধুমাত্র গবেষণা কার্যে ব্যবহৃত হবে। এ সকল ইনস্টিটিউট হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা যাবে না।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অদূর ভবিষ্যতে ইউজিসির অনুমতি ব্যতীত কোন অবস্থাতেই আর কোন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা যাবে না বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। একইসাথে স্নাতক ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে মানবিকী, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ জন এবং বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে স্নাতক ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আদিবাসি ও প্রতিবন্ধী কোটা ব্যতীত উপাচার্য কোটাসহ সকল কোটা বাতিল করার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। চিঠিতে এসকল আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ইতিহাস বিভাগের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগটির অনুমোদন না থাকায় তারা একসময়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং বিভাগটির অনুমোদনের দাবিতে তাদের দীর্ঘদিন আন্দোলন করতে হয়েছিলো। তারা প্রত্যাশা করেন ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না।
প্রসঙ্গত, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগ চালু করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে বিভাগটির অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post