শিক্ষার আলো ডেস্ক
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেজন্য চলতি বছরের এইচএসসি ও সমামন পরীক্ষা শেষে স্কুল-কলেজের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ শুরু করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। চিঠিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, ক্লাসে উপস্থিতি এবং অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার তথ্য চাওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ছক আকারে এসব তথ্য পাঠাতে হবে। এই তথ্য দিয়েই প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
সূত্র জানায়, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকের বাল্যবিবাহ হয়েছে, আবার অনেকে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া অনেকে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে তারা আর স্কুলে যাচ্ছে না। এই ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা চিহ্নিত করতেই এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সারা দেশে কী পরিমান শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে সেটি যাচাই করতে আমরা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবো। স্কুল-কলেজে কত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, পরীক্ষা দিয়েছে কতজন আর বাদ পড়েছে কতজন সেটি মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তবে মাধ্যমিক ৯৩ শতাংশ অ্যাসাইনম্টে জমা দিয়েছে। এই পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়ার মধ্যে রয়েছেন। অবশিষ্ট সাত শতাংশ ঝরে পড়তে পারে। সেই তথ্য আমরা সংগ্রহ করবো।
Discussion about this post