শিক্ষার আলো ডেস্ক
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মুফতি সৈয়দ উসামা ইসলাম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে নেই কোনও পাঠ্যসূচি কিংবা তেমন কোনও কার্যকর উদ্যোগ।
দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে এটি আমাদের জন্য চরম হতাশার। অথচ দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা।’ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। জাতীয় ও কারিগরি শিক্ষা সমন্বিত সিলেবাস কারিকুলাম প্রণয়ন এবং দেশপ্রেমভিত্তিক পাঠ্যবই প্রকাশ উপলক্ষে এর আয়োজন করে জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মনে করেন, আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো কর্মমুখর করার কোনও বিকল্প নেই।
মুফতি সৈয়দ উসামা ইসলাম উল্লেখ করেন, দেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কোনও শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড গড়ে ওঠেনি। তাই আমরা বেসরকারি উদ্যোগে জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশের অধীনে নিজস্ব সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়ন এবং স্বতন্ত্র পাঠ্যবই রচনার মাধ্যমে দ্বীনি বিষয়িক (জাতীয় ও কারিগরি) শিক্ষার সমন্বয়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাধারা চালু করেছি, যেন শিক্ষা শেষে কাউকে বেকারত্বের বোঝা নিয়ে থাকতে না হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপদেষ্টা বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতী এয়াহিয়া মাহমুদ কাসেমী, শিক্ষা সিলেবাস ও গবেষণা পরিচালক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মাওলানা মুআজ বিন নূর, জাতীয় কওমি বোর্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মুফতি আজীমুদ্দীন, বোর্ডের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জিয়াউর রহমান, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক সৈয়দ মাসুম আহমদ।
Discussion about this post