শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেছেন, বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বর জাতিকে মেধাশূন্য করতেই স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় পরিকল্পিভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবুও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করছি যেখানে সহযোগী হবে আজকের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীগণের জীবন, কর্ম ও মুক্তিযোদ্ধে তাঁদের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২১ উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবু সৈয়দ মো. আজিজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।
মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন,আমি সারাটি জীবন বাবার কথা বলছি। তোমাদের কাছে আসছি। জানিনা আমরা তোমাদের অন্তর স্পর্শ করতে পারছি কিনা। জানিনা তোমরা মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করো কিনা, বঙ্গবন্ধু কে চেনো কিনা, জাতীয় চার নেতা কে চিনো কিনা, আমি জানি না আমরা তোমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম হিসেবে তোমাদের শত্রু মিত্রদের চেনাতে পেরেছি কিনা। তবে তোমাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই তোমরা বীরের জাতি। নিঃসন্দেহে আমাদের শহীদরা আমাদের একটি সুন্দর পথ দেখিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সারাটি জীবন ধরে বাবার কথা বলছি কিন্তু বাবাকে কাছে পাইনি। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাবাকে হারিয়েছি। তখন আমার বয়স মাত্র দুই বছর। আমার মা সারাটি জীবন অশ্রুপাত করেছেন। শুধুমাত্র এদেশের মানুষের সুন্দর একটি ভবিষ্যতের জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে এমন অসংখ্য মানুষ নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। শহীদরা তাঁদের ভবিষ্যৎ কে উৎসর্গ করেছেন যেন আমরা ভবিষ্যত গড়ে নিতে পারি।
Discussion about this post