শিক্ষার আলো ডেস্ক
স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর বছরে এসেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি হয়নি। এটি হতাশার কারণ বলে উল্লেখ করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা। এ সময় স্বাধীনতার পঞ্চাশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দ্রুতই প্রকাশ করার তাগিদ জানান তারা।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা শেষে তিতুমীর কলেজের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোসা. তালাত সুলতানা, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, কলেজের ২৩তম শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস আসাদুজ্জামান, ২২তম শিক্ষক পরিষদের সাবেক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারসহ তিতুমীর কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক তালাত সুলতানা বলেন, স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তীতে বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। একটি জাতিকে মেধাশূন্য করতে পাক হানাদার বাহিনীরা নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। যার ফলে জাতি হারিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের। দুইদিন পরই বিজয় দিবস আর তখনই এই জাতির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের রাতের আধারে হত্যা করা হয়। বিজয়ী জাতীর আকাশে নেমে আসে এক কালো অধ্যায়। স্বাধীনতার পঞ্চাশে এসেও আমরা তাদের অবদান ও শূন্যতা অনুভব করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাঙ্গালীদের আজীবন পঙ্গু করে দেওয়ার জন্যে পাকিস্তান হানাদারদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাম্পদক অধ্যাপক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, বাঙ্গালী জাতি যাতে আর কোন দিন মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে তার জন্যে ১৯৭১ সালের ১০-১৪ই ডিসেম্বর পরিকল্পিত ভাবে বুদ্ধিজীবীদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
Discussion about this post