শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালাটি এখই বাতিল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের বিধিনিষেধ বাতিলসহ ৪ দফা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার অধ্যাপক আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা মূল্যবোধ ও সামাজিক দিক বিবেচনায় নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভালো নিয়মও আছে। তবে বর্তমান সময়ে তা যৌক্তিক কিনা- তা পর্যালোচনার দাবি রাখে।
তিনি আরও বলেন, তবে এখনই বিধানটি বাতিল করা সম্ভব নয়। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এ বিষয়ে আলাপ করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।
সম্প্রতি শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বিবাহিত দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই পাঁচটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধান বাতিলসহ মোট চার দাবিতে পাঁচটি ছাত্রী হলের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় ছাত্রীরা উপাচার্যের কাছে ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- বিবাহিত মেয়েদের হলে থাকার বিষয়ে যে বিধিনিষেধ এবং তাদের জন্য যে প্রচলিত নিয়ম তা বাতিল করতে হবে; শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার্থে সকল ছাত্রী হলে লোকাল গার্জিয়ান বা স্থানীয় অভিভাবকের পরিবর্তে ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট বা জরুরি যোগাযোগ শব্দটি রাখতে হবে;
আবাসিক শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনও ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করতে হবে এবং জরুরি প্রয়োজনে তাদেরকে হলে অবস্থান করতে দিতে হবে।
Discussion about this post