শিক্ষার আলো ডেস্ক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের অজানা অধ্যায়ের মনোমুগ্ধকর গল্প শোনালেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু সবসময় যে তিনটি শিক্ষামূলক গল্প বলতেন, তার ব্যাখ্যা করে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে খন্দকার মুশতাকের বৈরিতা ছিল আজীবন’ জানিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি করা হয়। তখন তাঁকে পছন্দমতো পদধারী ব্যক্তিদের নির্বাচিত করার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। মাওলানা ভাসানী প্রথমে বললেন- সাধারণ সম্পাদক হবেন শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তখন বাম দিকে বসা খন্দকার মুশতাক ভাসানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ‘মুজিবুর তো জেলখানায়- আপনি আমারে দেখেন না? তখন ভাসানী বলেন- তোমারেও দেখি, মুজিবুররেও দেখি। মুজিবুররে দিয়া যে কাম হইবো, তোমারে দিয়ে সেই কাম হইবো না।’
এভাবে খন্দকার মুশতাক কীভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করতেন তার গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরেন সৈয়দ আনোয়ার। বক্তব্যের শেষে তিনি ঐতিহাসিক ছয় দফার উৎপত্তি, কার্যকরণ ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সহধর্মিণী ড. শওকত আরা হোসেন, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মেহেদী হাসান, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. মো. তানভীর ইসলাম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমজাদ হোসেন, নবনির্বাচিত সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. শওকত ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান বাদল প্রমুখ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সামিউল আলম।
Discussion about this post