শিক্ষার আলো ডেস্ক
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা কলেজে ‘তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক স্থিরচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কলেজের টেনিস গ্রাউন্ডে স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যামিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা- এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ৷এর আগে কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, অসংখ্য মানুষের আহাজারি, বুক ভরা হাহাকার, কষ্টের বিনিময়ে আজকের আমাদের এই স্বাধীনতা৷ তখন পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনে অসংখ্য মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছেন। তারা বহু মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের রাজাকারের উত্তরসূরীরা এখনও আমাদের চারপাশে আছে। এদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সুযোগ পেলেই এরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আমরা বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক দিয়ে এগিয়ে। বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তান আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছে।
এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন৷
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন বলেন, বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে আমরা যদি পেছনের দিকে ফিরে দেখি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে যেই বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের সকলকে সকলের জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হতে পারবো।
আলোচনা সভা শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা কলেজের টেনিস গ্রাউন্ডে প্রদর্শিত মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন স্থিরচিত্র প্রদর্শন করেন।
এবার প্রথমবারের মতো ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে ক্যাম্পাসে স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷ এসময় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিভিন্ন সময়ের ৬৭টি চিত্র প্রদর্শিত হয়৷
Discussion about this post