শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম। তারা মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই-স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রনিসহ চাকরিচ্যুত সব শিক্ষক-কর্মচারীর পুনর্বহালেরও দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজর আলী বলেন, ‘সারাদেশে যেসব শিক্ষক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই-স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রনিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কিন্তু কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হয়নি; বরং শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতি ও নির্যাতন চলছে। এটা দুঃখজনক। ম্যানেজিং কমিটির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে দুর্নীতি ও অনিয়ম মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই এই প্রথা বিলুপ্ত করা উচিত।’
অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, ‘জাতীয়করণ হলে যে সমস্যাগুলো হচ্ছে তা আর হওয়ার কথা নয়। ম্যানেজিং কমিটি ও সভাপতি কোনও নিয়ম ছাড়াই শিক্ষকদের বহিষ্কার করে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র ভুক্তভোগী মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘শিক্ষকদের নির্যাতন করে চাকরিচ্যুত করছে। এতে সরকারেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সারাদেশে যাদের এমন হয়েছে তাদের চাকারি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই। শিক্ষার গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে। মুজিববর্ষে এসে এসব হওয়াটা দুঃখজনক। করোনার কারণে শিক্ষকদের করুন অবস্থা হয়েছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছে তাই জাতীয়করণ দরকার। এতে রাজস্ব খাতের তেমন ঘাটতি হবে না; বরং শিক্ষার মান বাড়বে।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাশিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আতিকুর রহমান তালুকদার, কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বাশিসের কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, মোস্তফা কামাল খান, তানিয়া আক্তার, সহকারী মহাসচিব ঝর্না আক্তার, মো. আলমগীর হোসেন তালুকদার, মো. মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মো. সামসুল হক তরফদার, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
Discussion about this post