নিজস্ব প্রতিবেদক
গতবারের ন্যায় এবারও দেশের মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আজ ভর্তির জন্য ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এর ফলে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৭০ ভাগেরও বেশি আসন এখনও খালি থাকছে। ফাঁকা আছে ছয় লাখ ৬৪ হাজার ১৬৬টি আসন।
সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে দুই হাজার ৯০৭টি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য আসন রয়েছে নয় লাখ ৪০ হাজার ৮০৭টি। এসব আসনে তিন লাখ ৬৪ হাজার ৭০৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম ভবন) বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধন শেষে তিনি লটারির মাধ্যমে পাওয়া ভর্তির ফল প্রকাশ করেন।
ফল থেকে দেখা যায়, দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। সেই হিসাবে বাকি ৭০ ভাগ আসন প্রার্থীর অভাবে শূন্য থাকছে।
জানা গেছে, ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে (http://gsa.teletalk.com.bd) থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন।
মহানগর ও জেলা পর্যায়ের দুই হাজার ৯০৭ বেসরকারি স্কুলে ৯ লাখ ৪০ জাহার লাখ আসনে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছিলেন। তারা ৭ লাখ ১৪ হাজার চয়েস দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলেন।
২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর অপেক্ষমান তালিকা থেকে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রমে যেসব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারেনি সেসব স্কুলেও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post