শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য শিক্ষার্থীদের একটি অংশ উপবৃত্তি পায়নি। দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। এ কারণে দায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। ইতোমধ্যে ট্রাস্টের কাছে দায়ীদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আনোয়ারুল হক বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও দেশে মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে কারণে সুনির্দিষ্টভাবে দায়ীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সংশ্লিষ্ট সার্ভারে উপবৃত্তি প্রাপ্য শিক্ষার্থীদের আবেদন অনলাইনে এন্ট্রি এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট-এর সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি বরাবর পাঠাতে বলা হলেও নির্ধারিত সময়ে তা পাঠানো হয়নি।
গত ১৯ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো আনোয়ারুল হকের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিও উল্লেখ করে বেসরকারি স্কুল এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের আলাদা একটি তালিকা প্রয়োজন।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে দেশের সব মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের চিঠি দিয়ে উপবৃত্তির তালিকা সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনায় জানানো হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের উপবৃত্তির টাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যে ও অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল থাকার কারণে কিছু শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়নি। অ্যাকাউন্টসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
৬ ডিসেম্বর উপবৃত্তি প্রাপ্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনের জন্য দেশের সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কীভাবে তথ্য সংশোধন করা হবে সেটাও জানানো হয় ওই চিঠিতে। এরপরও সংশোধিত তালিকা পাঠানো হয়নি অনেক উপজেলা ও থানা থেকে।
Discussion about this post