শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের বিশেষ ১৭টি নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল অফিস। বিজ্ঞপ্তিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে এমন নিয়ম উল্লিখিত আছে’ উল্লেখ করে রাবির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লিয়াকত আলীর সই করা নির্দেশনাগুলো ইতোমধ্যেই ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনে। অদ্ভুত সব নির্দেশের পসরা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কি কিন্ডার গার্টেনে পরিণত হচ্ছে?
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা যাবে না নতুন কোনো ক্লাব বা সংগঠন। এমনকি শিক্ষার্থীরা কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারবেন না প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া। শুধু তাই না, ক্যাম্পাসের ভেতরে বাজানো যাবে না কোনো বাদ্যযন্ত্র, এমনকি ক্যাম্পাসে কাউকে আপ্যায়ন করতেও প্রয়োজন হবে প্রক্টরের অনুমতি! উল্লেখ্য, এ নোটিশের প্রতিটি নিয়মের শেষে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩–এর বিভিন্ন ধারা ও উপধারাকে তথ্যসূত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব নির্দেশনা ভঙ্গ করলে যথোপযুক্ত জরিমানা ও শাস্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও, ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের মেস পরিবর্তনের জন্য প্রাধ্যক্ষের অনুমতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর প্রতি রাতেই রোল ডেকে হাজিরা নেয়া হবে হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাবি শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিকে ভীতি প্রদর্শন করে নবীন শিক্ষার্থীদের চাপে রাখার হাতিয়ার’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মহন্ত।
তিনি বলেন, অধ্যাদেশ কোট করা একপাক্ষিক নোটিশটি নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কজনক। এমন নির্দেশের পর স্বাভাবিকভাবে তাদের ওপর ঘটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় পাবেন তারা। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপের ভেতরে রেখে জিম্মি করার মতো অবস্থায় চলে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) আন্দোলন মঞ্চ নেতা আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চুরি-দুর্নীতি অথবা অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন কোনো প্রশ্ন করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই এ নোটিশ।
Discussion about this post