শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। এদের মধ্যে ২৭ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। আর ৮ শতাংশ পুরুষ শিক্ষার্থী এই সমস্যায় ভুগছেন।
সম্প্রতি ‘প্রিভ্যালেন্স অব মাইগ্রেন অ্যান্ড ইটস অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাক্টরস অ্যামং মেডিকেল স্টুডেন্টস অব বাংলাদেশ: আ ক্রস সেকশনাল স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
এই গবেষণার জন্য দেশের ৬টি মেডিকেল কলেজের ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সী নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে গুণ ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাথাব্যথার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে। ৪২ শতাংশ মাঝারি এবং ৪৮ শতাংশ গুরুতর মাথাব্যথায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ এক মাসের মধ্যে ১০ বারেরও বেশি আক্রমণের শিকার হয়েছেন। একইভাবে আক্রান্তদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের বমিভাব হয়েছে, ফটোফোবিয়ায় ভুগেছেন ৭২ শতাংশ এবং ৫৩ শতাংশ ভুক্তভোগী বমিও করেছেন। তিন-চতুর্থাংশ সমস্যাগ্রস্তরা একতরফা মাথাব্যথার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশের মাথার শিরায় ব্যথা অনুভব হয়।
মানসিক চাপের ফলে ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মাথাব্যথায় ভুগছেন। অনিয়মিত ঘুম ৪৬ শতাংশ, অতিরিক্ত অধ্যয়নের ফলে ২৭ শতাংশ, শব্দের কারণে ৩৩ শতাংশ, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী মাথাব্যথার মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। মাইগ্রেন সম্পর্কিত অক্ষমতার মধ্যে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সমস্যায় পড়েছেন ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।
তবে এই গবেষণার তথ্য সঠিক বলে মনে করেন না স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর মাইগ্রেনের সমস্যার কোনো ইতিহাস রয়েছে কিনা সেটি আগে দেখতে হবে। বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেনের সমস্যা হয়ে থাকে। শুধু একটি মাত্র গবেষণার আলোকে মাইগ্রেনকে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।
Discussion about this post