শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে সম্পন্ন হবে। প্রথম দফার মাইগ্রেশন শেষ হওয়ার পর মেডিকেল কলেজগুলোর শূন্য হওয়া আসনের তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এসব কথা জানান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব।
তিনি বলেন, আগামী ৯ জানুয়ারি প্রথম দফার মাইগ্রেশন ও অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি শেষ হবে। এরপর আমরা দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করবো। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন সম্পন্ন করতে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর শূন্য আসনের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এটি করতে কিছুটা সময় লাগবে।
কবে নাগাদ দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন সম্পন্ন হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আহসান হাবীব জানান, এটি নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে জানুয়ারিতেই দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মাইগ্রেশন ও অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মধ্যে ভর্তি না হওয়ায় এবং ইতোমধ্যে কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করার শূন্য আসনে মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ১ম দফায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে এবং অপেক্ষমান তালিকা হতে (সাধারন আসন, মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতীয় কোটাসহ) সর্বমোট ৩৩৪ জনকে সরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হলো। এক্ষেত্রে মেধা, পছন্দক্রম ও আসন শূণ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন কলেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মাইগ্রেশনে সুযোগ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তরে শিগগির যোগাযোগ পূর্বক আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া অর্থাৎ বর্তমান কলেজ থেকে বদলীকৃত কলেজে ভর্তির সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। সরবরাহকৃত মাইগ্রেশন ফরম পূরণের মাধ্যমে পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী অন্য মেডিকেল কলেজে ২য় মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকবে।
তথ্যমতে, এবার সরকারি মেডিকেলে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। এর মধ্যে ৫৩টি আসনে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এই আসনগুলোতে এখন অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। প্রথম মাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করা হবে।
Discussion about this post