নিজস্ব প্রতিবেদক
৪৪তম বিসিএসের আবেদনপ্রক্রিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। আবেদন চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর আর কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।
আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রার্থীদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে পিএসসির নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও টিউটরিয়াল দেওয়া আছে। সেটি দেখে সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে।
বিসিএস আবেদন ফরমে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত তথ্য, দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতা-সম্পর্কিত তথ্য এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার পছন্দের তথ্য। সঠিকভাবে নির্দেশনা অনুসরণ করে ফরম পূরণ করতে হবে। কারণ, অনলাইনে আবেদন করার পর কোনো পর্যায়েই প্রার্থীর ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য পরবর্তী সময়ে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না। মিথ্যা তথ্য দিলে যেকোনো পর্যায়ে তার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।
এছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে প্রার্থীকে।টেলিটক প্রি-পেইড মুঠোফোনের মাধ্যমে আবেদন ফি ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা জমা দিতে পারবেন।
৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।
৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে (সম্ভাব্য তারিখ ২৭ মে)। পরীক্ষার সময় ও নির্দেশনা পরবর্তী সময়ে কমিশনের ওয়েবসাইট এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
Discussion about this post