নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নবনির্মিত দুই হল চালুর দাবিতে উপাচার্যের বাংলো অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয়েছে উপাচার্যের বাসভবন ‘দুখু মিয়া বাংলো’।
আজ ভোর ৫টায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ছাত্রী মেসে আগুন লেগে ৬টি কক্ষ পুড়ে যায়। এছাড়াও মেসগুলোতে নিয়মিতই ঘটছে চুরির ঘটনা। এসবের প্রেক্ষিতেই আজ হল চালুর আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৭ সালেই হলের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ সালে হলের কাজ পুরোপুরি শেষ না করেই হস্তান্তর করে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। হলের দাবিতে নানা সময়ে বেশ কয়েক দফা আন্দোলন হলেও চালু করতে গড়িমসি করে প্রশাসন। বেশ কয়েকবার হল চালুর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত হল দুটো চালু হয়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে দুই হল প্রভোস্ট সিট বরাদ্দের জন্য আবেদন গ্রহণ করেন। ডিসেম্বরেই হলে তোলার কথা থাকলেও কথা রাখেনি প্রশাসন।
বলা হচ্ছে, গ্যাস লাইন, লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সংকট এখনো বিদ্যমান থাকায় হল চালু করতে বিলম্ব হচ্ছে।
আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট বাংলোর সামনে আসেন। তারা শিক্ষার্থীদের হল চালুর ব্যাপারে ও এ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলেও আন্দোলনকারীরা সময় দিতে রাজি হয়নি।
তারা বলছে, নানা সময়ে আমরা আমাদের আবাসন সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরলেও প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি। এখন আর কোনো হেলাফেলার সুযোগ দিতে চাই না। হল যতক্ষণ চালু হবে না ততক্ষণ এখানেই অবস্থান করবো।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। নানা সংকট এবং সমস্যা আছে, সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।
Discussion about this post