নিজস্ব প্রতিবেদক
লটারিতে চান্স পেলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো বাধ্যতামূলক। মৌখিক পরীক্ষা কিংবা বয়সের কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে বাদ দেয়া যাবে না। একজন শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে চান্স পাওয়ার পরও তাকে ভর্তি না নেয়া হলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ‘যাচ্ছেতাই’ অবস্থা নিয়ে আলাপকালে এসব কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
তিনি বলেন, সারাদেশে শিক্ষার্থী ভর্তির যে বেহাল দশা ছিল সেটি থেকে পরিত্রান পেতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। আমাদের কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বঞ্চিত থাকবে না। মূল কথা কেউ যদি লটারিতে চান্স পায় তাহলে তাকে অবশ্যই ভর্তি নিতে হবে। লটারিতে চান্স না পেলে কিংবা অনলাইনে ফরম পূরণ না করলে তাকে সরাসরি ভর্তি করানো যাবে। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি কমিটির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করতে এবার প্রথমবারের মতো বেসরকারি স্কুলগুলোতেও কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে চার্চ পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এবং কিছু প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভর্তি প্রক্রিয়ার মধ্যে আসেনি। এদেরকে ছাড় দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল ও উত্তরা মডেল কলেজ অন্যতম।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো আবেদনগ্রহণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির আগে অথবা পরে বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। যদিও মাউশি বলছে, লটারিতে না আসলেও শিক্ষার্থী ভর্তিতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূল্যায়ন করতে পারবে না। তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
তবে মাউশির পরিচালক অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আলাদা ভর্তির অনুমতি পেলেও কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Discussion about this post