শিক্ষার আলো ডেস্ক
জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া সারাদেশের চার হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) এর হল রুমে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ আশ্বাস দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয়করণ করা হলে ওই চার হাজার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দিতে সরকারে বছরে মাত্র ২৭০ থেকে ২৮০ কোটি টাকা লাগবে। অথচ আমরা ৫০ হাজার কোটি বা তারও বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পাস করি। সে তুলনায় এটা কিছুই না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরবো। আপনারা প্রতিষ্ঠানে চলে যান, আপনাদের প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্ব আমার।
তিনি বলেন, শিক্ষক সমাজের পথপ্রদর্শক। আমি জানি, বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন অনেক কষ্টে আছেন। আমি এ সরকারের একজন কার্মী হিসেবে, শেখ হাসিনার একজন টিম মেম্বার হিসেবে কথা দিচ্ছি, আপনাদের জাতীয়করণে সম্পূর্ণ সহায়তা করবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি কৃষকের সন্তান। ভালো ফসলের জন্য যেমন ভালো জাতের বীজ প্রয়োজন, তেমনই কোটি কোটি শিশুকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনারা শিক্ষকতা করছেন, শিক্ষার্থীদের বই দিচ্ছেন, পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন, অথচ ঠিকভাবে বেতন পাচ্ছেন না- এটা তো হতে পারে না। আপনারা দীর্ঘদিন ধরে কষ্টে আছেন। প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় বড় বিষয় সমাধান করেছেন, আশা করি আপনাদের সমস্যাও তিনি সমাধান করবেন।
বেসরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক হাসিব কবীর পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ডা. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বেসরকারি শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হাজী শরীফ নেওয়াজ ও উপদেষ্টা শেখ শামীম কামাল লাবু।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিব কবীর পাপ্পু বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। সে ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন ‘আজ থেকে বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না’। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, জাতীয়করণের সময় যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল, তার সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় প্রায় চার হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে।
Discussion about this post