শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ছিনতাইকারীদের শনাক্তকরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় সিসি ক্যামেরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকির সঞ্চালনায় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা, প্রক্টর, পুলিশ রয়েছেন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আমরা দেখছি পুলিশ, সিসি ক্যামেরা, প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যর্থ হচ্ছেন। কাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন তারা? প্রক্টরিয়াল বডি ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করতে পারছেন না। তাহলে কী আমরা বুঝে নেবো এসব আয়োজন ছিনতাইকারী যেন নিরাপদে বের হয়ে যেতে পারে তার জন্য?
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ছিনতাইকারীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডি জড়িত। বডির একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। নারী শিক্ষার্থীদের যে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে, আরও যে পারিপার্শ্বিক হয়রানি হয় তা প্রক্টরের টিম দ্বারা হচ্ছে। কোনো ঘটনায় প্রক্টরের কাছে জানালে তারা বলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করো। তাদের কী কোনো দায়িত্ব নেই। এমন ব্যর্থ প্রক্টরের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।’
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনমোহন বাপ্পা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যে কোনো ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। প্রক্টর বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে প্রক্টর থেকে লাভ কি? উপাচার্য বাস ভবনের সামনে ছিনতাই হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার পরও ছিনতাইকারী শনাক্ত হচ্ছে না তা দুঃখজনক।’
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর দিন-দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাইশা জান্নাত ছিনতাইয়ের শিকার হন। এর তিনদিনের ব্যবধানে আবারও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসময় ছিনতাইয়ের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা বৃষ্টি।
Discussion about this post