শিক্ষার আলো ডেস্ক
স্থায়ী অধ্যাপক ছাড়াই চলছে দেশের চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী অধ্যাপক আছেন মাত্র একজন করে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় তথা উচ্চশিক্ষার মূল অনুষঙ্গ গবেষণা ও প্রকাশনা ব্যবস্থাপনা। যে কাজগুলো সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাই করে থাকেন। অথচ দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অধ্যাপক শূন্যতা কিংবা অপর্যাপ্ততা উচ্চশিক্ষার মানকে যেমন ক্ষুন্ন করছে তেমনি করছে প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থায়ী অধ্যাপক নেই জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। খণ্ডকালীন অধ্যাপক আছেন একজন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থায়ী সহযোগী অধ্যাপকও আছেন একজন। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে খন্ডকালীন অধ্যাপক ৭ জন থাকলেও স্থায়ী অধ্যাপক নেই একজনও। গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশে স্থায়ী অথবা খণ্ডকালীন কোনো ক্যাটাগরিতেই অধ্যাপক নেই। শুধু অধ্যাপক নয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থায়ী সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকও নেই। বাংলাদেশ আর্মি ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, কুমিল্লায় মোট শিক্ষক আছেন ১০২ জন। তবে এদের মধ্যে কেউ স্থায়ী অধ্যাপক নন।
একজন স্থায়ী অধ্যাপক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনির্ভাসিটি, দি পিপল’স ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ, ইউনির্ভাসিটি অব সাউথ এশিয়া, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ইউনির্ভাসিটি, ব্রিটানিয়া ইউনির্ভাসিটি, বাংলাদেশ আর্ম ইউনিভার্সিটি অব ইনঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, কাদিরাবাদ, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট এন্ড টেকনোলজি।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে মূলত অধ্যাপকরাই। এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী অধ্যাপক না থাকায় এদের শিক্ষার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা এবং প্রকাশনা কার্যক্রমও ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার পেছনে অর্থ কম খরচ করতে চায়। কম বেতন দেওয়া হয় শিক্ষকদের। বাইরে থেকে ভাড়া করে বা বাইরের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এই খণ্ডকালীন শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষাদানের প্রাতিষ্ঠানিক রূপও প্রকাশ পায় না।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় সমান মানের হয়ে ওঠেনি। হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সনদ ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
Discussion about this post