শিক্ষার আলো ডেস্ক
৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৮ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টায় বকশীবাজার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো-
১. কোনো অবস্থাতে আবাসিক হল বন্ধ করা যাবে না।
২. শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করতে হবে।
৩. হল প্রাঙ্গণে অধিদপ্তর নির্মান করা যাবে না।
৪. সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত সকল প্রকার হয়রানি মূলক মিথ্যা অভিযোগ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন ধরনের বাণিজ্য করা চলবেনা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯৫৮ সালে স্থাপিত একটি মাত্র জরাজীর্ণ আবাসিক হলের দুটি ভবনে রয়েছে মাত্র ৩৫০জন শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্যে মাদ্রাসা প্রশাসনকে বারবার অবগত করা হলেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বরং এর মধ্যে হঠাৎ করেই আল্লামা কাশগরী (র) হলের কিছু অংশ ও হল সুপারের বাস ভবন ভেঙ্গে সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। একটি স্বতন্ত্র ও ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট করে অন্য প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা স্বেচ্ছাচারিতা।
মানববন্ধনে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, মাদ্রাসা প্রশাসন নির্লজ্জতার পরিচয় দিয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনকে শিক্ষা অধিদপ্তর নির্মাণে হুমকি মনে করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। হল সুপার জাহাঙ্গীর আলম খান নোটিশে দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এসব কর্মকান্ডে থেকে প্রশাসনকে সরে আসতে হবে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে আমাদের ফাজিল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এমন সময় হল বন্ধের নোটিশে হতবাক। যেখানে পরীক্ষার হন্য মাদ্রাসা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিলো শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির সুযোগ করে দেওয়াে, হলের নানান সমস্যা ও সংকটগুলো নিরসন করা, সেখানে নিজ ছাত্র ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নির্মাণ করার মত ঘৃন্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
এছাড়াও অধিদপ্তর নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসা পর্যন্ত ও পাঁচদফা দাবি আদায় না হলে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post