শিক্ষার আলো ডেস্ক
‘কারাগারে বন্দি রেখে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের পরেও বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা বন্ধ হয়নি। লেখনীর মাধ্যমে নির্যাতনের বর্ণনা, দেশের মুক্তির সংকল্পসহ মানুষের অধিকার আদায়ের বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।’ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমি ভবনের ৫০১নং কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও মানব দরদী নেতা। মানুষকে কীভাবে কাছে টেনে নিতে হয় তা তিনি জানতেন। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল- বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। বর্তমানে সেই লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার জন্য।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা যদি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না পারতেন তাহলে এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যেত। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে দেশ ও দেশের বাইরে সংগ্রাম করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসা মানে দেশকে ভালোবাসা। আর দেশকে ভালোবাসা মানে নিজেকে ভালোবাসা। এসময় তিনি সকলকে জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান, স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুর রহমান প্রমুখ। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post