নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজার উপযোগী করে তুলতে নিজেদের কারিকুলামে সময়োপযোগী ১০টি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তির চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠক করে এই ১০টি বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্সকে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে সময়োপযোগী বিষয়গুলো ডিগ্রিতে যুক্ত করা। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের মধ্যে যে বিষয়গুলো বর্তমান চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই বিষয়গুলো পড়ানোর তালিকায় যুক্ত করা হবে।
সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০টি বিষয়ের মধ্যে তিনটি বিষয় ইতোমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হলো- এন্ট্রারপ্রেনারশীপ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসটি) ও ল্যাঙ্গুয়েজ। আর বাকি ৭টি বিষয় নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। এছাড়া এই কোর্সগুলো কেবলমাত্র ডিগ্রিতে পড়ানো হবে নাকি স্নাতকেও যুক্ত করা হবে সে বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, সময়োপযোগী বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করিয়ে চাকরির বাজার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা শেষ করে আর বেকার থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা ডিগ্রি কোর্সকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ডিগ্রিতে চাকরির বাজার উপযোগী কিছু বিসয় যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিগ্রিতে এন্টারপ্রেনরশীপ, আইসিটি, ল্যাঙ্গুয়েজসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হবে। এই বিষয়গুলোর চাকরির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
অধ্যাপক মশিউর আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নেয়া উদ্যোগের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা চাকরির বাজার এক্সপার্ট, ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার, শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করবো। সেখানে কোন বিষয়গুলো পড়ালে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজার উপযোগী হবে সেটি নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উচ্চশিক্ষা সনদধারী বেকার তৈরি করতে চান না বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন। আমাদের দেশের গ্রাজুয়েটরা সারাবিশ্বে অবদান রাখবে। তারা বিজ্ঞানমনস্ক, দক্ষ, যোগ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ালেখা করবে বলেও জানান তিনি।
তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এমন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে, যারা ভৌগোলিকভাবে খুব ছোট আয়তনের দেশটিকে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করবে। বর্তমান শিল্পে ও কর্মজগতে কোন শিক্ষা প্রয়োজন সেটিকে মাথায় রেখে চাহিদা মোতাবেক যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে হবে।
Discussion about this post