শিক্ষার আলো ডেস্ক
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ছয়টি অনুষদের অধীনে স্নাতক প্রথমবর্ষে অপেক্ষমান তালিকার রিপোর্টিং ও ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভর্তি কার্যক্রম। শিক্ষার্থী ভর্তির হার প্রায় ৮০.৩০ শতাংশ। রিপোর্টিং কার্যক্রমে বিলম্ব করায় এদিন ২১ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন নি।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে দেখা যায় রসায়ন বিভাগে ভর্তি হয়েছে ৪৭ জন। এছাড়া পূর্বে মেধাতালিকা থেকে ভর্তি হয় ৭ জন (বর্তমানে ফাঁকা ২১টি), পদার্থে ৫২ জন ও পূর্বের মেধাতালিকা থেকে ১জন (বর্তমানে ফাঁকা ২২টি), গণিতে ৫৯ জন ও পূর্বের মেধা তালিকা থেকে ১ জন (বর্তমানে ফাঁকা ২০টি) এবং পরিসংখ্যানে ৪৮ জন (ফাঁকা ৩২ টি) শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ঘুরে দেখা যায় কেবলমাত্র ইসিই বিভাগে বর্তমানে ৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এছাড়া সিএসই ও ইইই বিভাগের সকল আসন পূরণ হয়ে গেছে।
এদিকে, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হয়েছে ৬১ জন এবং পূর্বের মেধা তালিকায় ভর্তি ছিলেন ৬ জন (বর্তমানে ফাঁকা ১৩টি), কৃষি অনুষদে ভর্তি হয়েছে ১৪২ জন এবং পূর্বের মেধা তালিকা থেকে ভর্তি হয়েছে ১৫৬ জন (বর্তমানে ফাঁকা ২টি) এবং ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদে কোন আসন ফাঁকা নেই বলা সংশ্লিষ্ট অনুষদ থেকে জানা যায়।
অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বর্তমানে ফাঁকা আছে ১৬টি। এছাড়া ফুড এ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফাঁকা রয়েছে ৯টি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফাঁকা ৬টি এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফাঁকা রয়েছে ৭টি। তবে স্থাপত্য বিভাগে কোনো আসন ফাঁকা নেই।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) হাবিপ্রবিতে বিজনেস স্টাডিজ ও সোশ্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের অপেক্ষমান তালিকার রিপোর্টিং ও ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে ভর্তি কমিটির সচিব ও হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, যথাযত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য আমরা বসার ব্যবস্থা করেছি। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, হাবিপ্রবির ‘এ’ ইউনিটে কোটাসহ প্রায় ১৫৫টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে যদি ভর্তি বাতিল করে শিক্ষার্থীরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়।
Discussion about this post