শিক্ষার আলো ডেস্ক
সশরীরের পরীক্ষা বর্জন করে অনলাইনে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, আবাসিক হলগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ৷ এছাড়া অনেকেই করোনা লক্ষণ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হলে অবস্থান করছে।
চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারী) নির্ধারিত পরীক্ষা বর্জন করেছেন তারা। সশরীরের পরীক্ষা বর্জন করে বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ থেকে অনলাইনে নেয়াসহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি থেকে যথাক্রমে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। এসব পরীক্ষাগুলোও সশরীরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব পরীক্ষাগুলোও অনলাইনে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
দাবির বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একাডেমিক কার্যক্রম কোনোভাবেই আর বিলম্বিত করতে চাই না, অফলাইন পরীক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত বর্ষের লেভেল ৪ টার্ম-১ এর অবশিষ্ট চারটি পরীক্ষা রিশিডিউল এবং লেভেল ৪ টার্ম-২ এর পরীক্ষাসমূহের শিডিউল ঘোষণা করতে হবে।
তৃতীয় বর্ষের লেভেল ৩ টার্ম ২, দ্বিতীয় বর্ষের লেভেল ২ টার্ম ২ এবং প্রথম বর্ষের লেভেল ১ টার্ম ২ এর পূর্বের শিডিউলকৃত পরীক্ষার অনলাইনে যথাযথ ডিএলসহ রিশিডিউল করতে হবে। এ ছাড়া সকল ব্যাচের চলতি লেভেলের টার্ম ফাইনাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে বিভিন্ন বর্ষের শর্ট/সেলফস্টাডি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।
অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে যাদের ডিভাইসের সংকট থাকবে তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে লোনের ব্যবস্থার দাবি করেন তারা।
এসব দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম শিক্ষার্থীদের মাঝে সরাসরি উপস্থিত হয়ে শিগগিরই একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে সীদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেন। সে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান এবং আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার সময় বেধে দেন। এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেখ রাসেল হল, শামসেন নাহার হলসহ, ড. কুদরতে খুদা হলে অন্তত ৪ জন শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৫০ জন্য শিক্ষার্থী করোনা পরীক্ষা করতে নমুনা দিয়েছেন।
Discussion about this post