নিজস্ব প্রতিবেদক
উপবৃত্তি পাওয়া সকল শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মেধা ও সাধারণ কোটায় পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যর ভুল আগামী ২০ জানুয়ারীর মধ্যে সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দেয়া নির্দেশে বলা হয়, পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক (পাস/সম্মান) পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফিরে আসা তথ্যের ভুল আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে সংশোধন করতে হবে।
অফিস আদেশে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া) উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের বর্ণিত তথ্য আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যার লিংকে প্রবেশ করে বাউন্স ব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্যের ভুল সংশোধনে অনুসরণীয়-
যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব/স্কুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে সফটওয়্যারে তথ্যাদি সংশোধনের ক্ষেত্রে হিসাবধারীর নামের স্থলে উভয়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১০-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংক হিসাবটি সচল থাকতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর থেকে রাজস্ব খাতভুক্ত সকল ধরনের বৃত্তির অর্থ জিটুজি পদ্ধতিতে ইএফটি’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো তথ্যে ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম, রাউটিং নম্বরসহ ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য না থাকায় ইএফটি বাউন্স ব্যাক হয়েছে। ফলে এসব শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। এর আগে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও ফেরত আসা এ সকল শিক্ষার্থীর তথ্য প্রতিষ্ঠান থেকে সংশোধন করা হয়নি।
Discussion about this post