শিক্ষার আলো ডেস্ক
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক নিয়োগ প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। ঢাবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহমেদ ইশতিয়াক ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১৮ সালে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৩টি প্রভাষক পদের জন্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই সময় এস এম ফাইজুল হক ইশান নামে এক প্রার্থীও অন্যদের মতো আবেদন করেন। সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে নিয়োগবোর্ড তাকেসহ মোট ৩ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। নিয়োগবোর্ডে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও তাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিয়োগ না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ২০১৮ সালে রিট করেন। ওই রিটে হাইকোর্ট আবেদনকারীকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এখন এ রুলটি বিচারাধীন।
তিনি আরও জানান, রিট মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নিয়োগের অংশের কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য রিটকারী ইশান ১১ জানুয়ারি আবেদন করেন।
সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রভাষক পদের এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিট মামলাটির শুনানির তারিখও নির্ধারন করে দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ ।
এই আইনজীবীর মতে, এ নিয়োগ সম্পন্ন হলে চলমান রিট মামলাটি অকার্যকর হয়ে যাবে। মামলাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত না করলে পরে আবেদনকারী পক্ষে রায় হলেও তা কার্যকর করার সুযোগ থাকবে না।
Discussion about this post