শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আন্দোলনের মুখে প্রক্টর ড. লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকেই উপাচার্য তার নিজ বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে প্রক্টরকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে গতকাল রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাক চাপায় মাহমুদ হাবিব হিমেল নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনার পর থেকে ভবন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত পাঁচটি ট্রাক ও নির্মাণশ্রমিকদের ঘরে আগুন, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা নিজেদের সবচেয়ে নিরাপদ মনে করি। সেখানে যখন আমাদের সহপাঠীকে নিজের জীবন দিতে হয় তখন আদৌও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমাদের বন্ধু মৃত্যুর বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়েছি।
তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে অনিরাপদ এবং অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ কাজ চলছে। যার কারণে আজকের এই দুর্ঘটনা। এটি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ঘটনার পর প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি মিটিংয়ের অজুহাত দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে আসেন নি। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘন্টা পর্যন্ত মরদেহ ঘটনাস্থলেই ছিলো। তাহলে প্রক্টরকে কেন রাখা হয়েছে? আমরা প্রক্টরের প্রত্যাহার চাই।
গত মঙ্গলবার রাতে গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেল । মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরছিলেন। পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নির্মাণ সামগ্রীবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এছাড়া সিরামিক ও ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান প্রামাণিক আহত হন। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Discussion about this post