শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ট্রাকের চাপায় মাথা পিষ্ট হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন । মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মাহমুদ সাকি দাবিগুলো উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো-
১. এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; একটি হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে।
২. ভুক্তভোগীর পরিবারকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত দুজনের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হবে।
৩. ভুক্তভোগীর পরিবার নয়, প্রশাসনকে হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী হতে হবে।
৪. প্রক্টরকে দেড়ঘণ্টা ধরে ২৫ বার ফোন দেওয়া হয় কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি এবং ঘটনাস্থলেও আসেননি। ঘটনার দায় প্রক্টরিয়াল বডি কোনোভাবে এড়াতে পারে না। তাই দায় ঘাড়ে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে।
৫. নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মারা গেছেন। পরিবারে ছোট বোন ও মা আছেন। মা অসুস্থ। তাই পরিবারের একজন সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিতে হবে।
৬. অবিলম্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে হবে।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।
এর আগে রাত ৯টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে ট্রাকটাপায় মারা যান মাহবুব হাবিব হিমেল। তিনি কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। নিহত হিমেল শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ড্রামা অ্যাসোসিয়েশনের (রুডা) সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দফতর সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসে দুটি আবাসিক হল ও একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হল নির্মাণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের সামনে। অন্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের পাশে। শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে একাডেমিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজে ট্রাকযোগে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে।
Discussion about this post