নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাইনিংগুলোতে পুষ্টিহীন খাবার পরিবেশনের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। নিত্যদিনের খাবারে আলু আর পেঁপে ছাড়া মিলছে না অন্য কোনো সবজি। এমনকি ভাতের ক্ষেত্রে বাজারের সব থেকে নিম্নমানের চাল ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগে খাবারের মান যাচাই করতে হলের ডাইনিং পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ- উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম।পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এবং বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ রওশন জাহিদ।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শের-ই-বাংলা হল পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি হলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ শুনে তা লিপিবদ্ধ করেন। এছাড়া খাবারের মান, রান্নাঘর এবং ডাইনিং এর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের প্রদানকৃত মূল্যের বিনিময়ে সর্বোচ্চ মানসম্মত খাবার পাচ্ছে কি না তা তদারকি করা হবে। শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে খাবারের মানোন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ইতোমধ্যে হল প্রভোস্টকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছেলেদের ১১ হলের মধ্যে শুধু দু-তিনটির ডাইনিংয়ে ভিড় লক্ষণীয় কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাবারের মানে তারতম্যের কারণে এমন ঘটতে পারে। দ্রুত সব হলের খাবার ব্যবস্থাপনায় সামঞ্জস্য আনা হবে। একই সঙ্গে প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত ডাইনিং পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. রওশন জাহিদ বলেন, বাজারে দামের সঙ্গে মিলিয়ে ডাইনিংয়ের পুষ্টিমান খাবার কীভাবে সমন্বয় করা যায় এ নিয়ে উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।
খাবারের যে রেট আছে তা বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যালোরি যদি ২৪ টাকার মধ্যে বাড়ানো সম্ভব হয় তাহলে সেটাই থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি ২৪ টাকা রেট রেখেই কীভাবে পুষ্টিমান খাবার খাওয়ানো সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং খাবারের নিম্নমান নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংবাদপত্রেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়,বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাদার বক্স, হবিবুর রহমান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মতিহার, এসএম, সৈয়দ আমীর আলী, নবাব আব্দুল লতিফহল সহ অন্যান্য হলগুলোতে একই ধরনের খাবার প্রতি বেলায় পরিবেশন হচ্ছে। নেই কোনো পরিবর্তন। বাজারে শীতকালীন হরেকরকম সবজি পাওয়া গেলেও আলু আর পেঁপেই নিত্যদিনের খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে।আগে বিভিন্ন হলে খাবারের তালিকায় গরুর মাংস বিদ্যমান থাকলেও এখন তা আর থাকছে না। ব্রয়লার মুরগির পিসের আকারও অনেক ছোট, তরকারির পরিমাণও খুবই কম যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরো খাবারই শেষ করতে পারছেন না।
Discussion about this post